ঠাকুরগাঁওয়ে চাঞ্চল্যকর রিফাত হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন! গ্রেফতার-০৭।
মোঃ মামুন অর-রশীদ, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ে চাঞ্চল্যকর অটোচালক রিফাত হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পিবিআই। মাত্র ১২ হাজার টাকায় বিক্রি করা অটোরিকশা চুরি করতেই রিফাতকে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে জড়িতরা। এই ঘটনায় মোট ৭ জানকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ছিলেন সর্বমোট ৪ জন। অটোরিকশা বিক্রি করে প্রাপ্ত ১২ হাজার টাকা থেকে ৩ হাজার করে তারা ভাগ পায়।
গলায় ছুড়ি চালিয়ে হত্যা ও অটোরিকশা নিয়ে পালানোতে সরাসরি জড়িত ছিলেন ২ জন, ১। মোঃ রবিউল ইসলাম (১৬) পিতা- মোহাম জিয়াবাড়ী সদ্দারপাড়া, থানা- পঞ্চগড় সদর, জেলা-পঞ্চগড় এবং আসামী ২। মোঃ কামরুল হাসান (২৪), পিতা- মৃত আশরাফ চৌধুরী, সাং- ভূতমারী, থানা- পঞ্চগড়, জেলা- পঞ্চগড়।
এই গ্রুপের অন্য দুই সদস্য, ৬ নং আসামি অতুল বর্মণ (৩২), পিতা- কাশি বর্ষণ, ঘনিমহেষপুর, থানা-রুহিয়া, জেলা-ঠাকুরগাঁও ও ৭ নং আসামী মোঃ নাছির উদ্দিন (৩৫), পিতা- মোঃ আজিমুল ইসলাম, সাং- দেলুয়াত্তার খৌর, থানা-আটোয়ারী,জেলা- পঞ্চগড়।
হত্যাকান্ডের পরে চুড়ি হওয়া অটো চার্জার রিক্সা ক্রয়ের সাথে জড়িত তিনজন হলেন, ৩ নং আসামি এরাজ উদ্দিন (৬২), পিতা-মৃত চৈতন, ৪ নং আসামি মেয়ে জাবাসীর আলম (৩২), ৫ নং আসামি ছেলে মোঃ আলমগীর হোসেন (২৫), উভয় পিতা- এরাজ তরফে এরাজ উদ্দিন, সর্ব সাং- ছোট গোবিন্দপুর, থানা- আটোয়ারী, জেলা পঞ্চগড়।
পুলিশ সূত্রে জানাযায়, আসামী রবিউল ও কামরুলকে গত ১৬ অক্টোবর সকাল ১০টার দিকে আর্ট গ্যালারী হতে ঘুরাঘুরি করার জন্যে ভিক্টিমের অটো চার্জার রিক্সাটি ভাড়া করে ৬০০ টাকা দিয়ে। পরবর্তীতে সারাদিন ঘুরাঘুরি করার পর ৪০০ টাকা ভাড়া বাড়িয়ে দিয়ে আরো একটু সময় ঘরতে চায়। পরে রাত ৯ টার দিকে মুনগাছ কুজিশহর গ্রামস্থ চার পুকুরি হতে মতবাদামগামী কাছা রাস্তার পার্শ্বে অটোতে বসে থাকা অবস্থায় অটো চালক রিফাতের গলায় আসামী কামরুল ছুরি চালিয়ে দিয়ে হত্যা করে এবং অটো চার্জার নিয়ে একাজ ওরফে এরাজ উদ্দিন এর নিকট বিক্রয় করে।
এই বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ঠাকুরগাঁও পিবিআই এর দায়িত্বরত পুলিশ সুপার ও সদ্য অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদন্নোতি প্রাপ্ত মাহফুজ্জামান আশরাফ বলেন, ভিক্টিমের কাছে থাকা মোবাইলটি চালু করে আসামি কামরুজ্জামান। এতেকরে আসামি সনাক্ত করতে আমাদের সহজ হয়েযায়। তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রবিউলের নেতৃত্বে আমাদের একটি টিম খুব অল্প সময়ে হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচন করে আসামিদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে।
এরআগে, ১৭ অক্টোবর ভোররাতে রুহিয়া ইউনিয়নের ঘুরনগাছ নামক এলায় শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে সদর উপজেলার রুহিয়া ইউনিয়নের কুজিশহর ঘুরনগাছ এলাকায় ধানখেত থেকে রিফাতের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। রিফাতের বাড়ি ঠাকুরগাঁও শহরের গোয়ালপাড়া এলাকায়। তার বাবার নাম মো. নূর আলম।