ঠাকুরগাঁওয়ে যুবদল নেতার উদ্যোগে নিহত পরিবারের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান।
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ে ২০১৪ সালে ৫ই জানুয়ারি নির্বাচনে ও বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের নিহত ও আহত সদস্যদের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদুর রহমান জাহিদের নিজ উদ্যোগে নিহত ও আহত যুবদলের দলীয় নেতাকর্মীদের তাদের নিজ বাড়িতে গিয়ে পরিবারের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান এবং সেইসব পরিবার গুলোর খোঁজখবর নেয়া হয়।
৫ই জানুয়ারিতে নিহতরা হলেন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের খাগড়াবাড়ি এলাকার মৃত আব্দুস সামাদের ছেলে ইউনিয়নের যুবদল নেতা হারুনুর রশিদ ও একই গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন, সেদিনের আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী হামলায় ঘটনায় ধারালো অস্ত্রের কোপে আহত হাত হারানো একই ইউনিয়ন যুবদল নেতা বড় খোচা বাড়ি দৌলতপুর গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে স্বপন।
একই দিনে সদর উপজেলা গড়েয়া ইউনিয়নের যুবদল নেতা হানিফ তাকেও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে নিহত করে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা এবং কয়েক মাস আগে পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার পর মৃত্যুবরণ করেন জেলার হরিপুর উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব আকরাম হোসেন। এই আহত এবং নিহত পরিবার গুলোর খোঁজ খবর নেয়ার পরে। ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড যুবদল নেতাদের নিয়ে নিহতদের কবর জিয়ারত করা হয়।
এদিকে নিহতর পরিবারেরা জানান আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী হামলায় ও তাদের পেটুয়া বাহিনী দিয়ে আমাদের সন্তান নিহত হয়েছে।
স্বজন হারানোর ব্যথা আমরাই বুঝি কেঁদে কেঁদে চোখের জল শুকিয়ে গেছে। তারপরও প্রতিটি দিন প্রতিটি রাত স্বজন হারানো জ্বালা নিয়ে বেঁচে আছি। পরিবারের যখন আয়ের মানুষটি থাকে না তখন আর একটা পরিবার কিভাবে ভালো করে চলতে পারে। আমাদের সন্তানরা তাদের বাবাকে হারিয়েছি তাদের মাথার উপরে কোন ছাদ নেই কষ্টে দিন পার করছি আমরা।
আওয়ামী লীগের অত্যাচারী বাহিনী যারা স্বজনদের এভাবে মেরেছে তাদেরকে বিচার করতে হবে। তাহলেই আমরা হয়তো বা মনকে সান্ত্বনা দিতে পারব। বর্তমান বিচারের আশায় পথ চেয়ে বসে রয়েছি।
এ সময়ে জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদুর রহমান জাহিদ বলেন ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি থেকে শুরু করে আজ অব্দি ঠাকুরগাঁও জেলা, সদর উপজেলা, ইউনিয়ন যুবদল নেতা কর্মীদের হত্যা, ধারালো অস্ত্র দিয়ে শরীরের ক্ষতবিক্ষত করা, একের পর এক মিথ্যা মামলা, তুলে নিয়ে যাওয়া সবকিছুই করেছে স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকার।
যেটা কখনও ভোলার মত নয়। আজ দলকে ভালোবেসে যে সকল নেতা কর্মীরা জীবন দিয়েছে। তাদের পরিবারগুলো কিভাবে কষ্ট করে বেঁচে আছে সেটা একমাত্র পরিবার ও সৃষ্টিকর্তাই জানে। যারা এভাবে দলের মানুষগুলোকে হত্যা করেছে নির্যাতন করেছে তাদের বিচারের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।