1. dainikjonopath@gmail.com : admin :
  2. black@prostpro.fun : Alfonsoqyp : KelvinneuthVL KelvinneuthVL
  3. 99@dianabykiris.fun : Anya99Pt : Anya99PtBW Anya99PtBW
  4. info211@noreply0.com : breannareay1 :
  5. leavezl@gazeta.pl : elena48259200 :
  6. also@triol.site : fatimamulley504 :
  7. pazapz@mailbox.in.ua : Get Free Bitcoin Now hs30578eed2bb3dc1611606fee3669360f :
  8. tnowvvpo@mailkv.com : heidicascarret :
  9. suzannamichell@solstris.com : hollydubois7865 :
  10. aahsanmanik@gmail.com : M A Manik :
  11. belindaandres@solstris.com : maxinecissell :
  12. mellissa.healey_1913@spacemail.click : mellissahealey :
  13. me.g.astopla.y@gmail.com : Melvinjab :
  14. kvhmiird@bientotmail.com : NARETGR1522310NERTHRTYHR :
  15. riazuddin137990@gmail.com : Riaz Uddin :
  16. rekeuoge@mailkv.com : rockypleasant :
  17. jadajaime@solstris.com : rollandwainscott :
  18. ybznhaok@oonmail.com : santosj73168960 :
  19. mariloueverett@anonmails.de : sharyllocke :
  20. interest@prostpro.fun : Travisiq :
  21. sherrierodger@solstris.com : vivienali1684 :
ঢাকা ০৮:৩০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঠাকুরগাঁওয়ে রঙিন মাছ চাষ করে বদলে গেল মর্তুজার জীবন।

প্রতিনিধির নাম

সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মোঃ মামুন অর-রশীদ, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধিঃ
বাড়ির ছাদে বিভিন্ন প্রজাতির বাহারি রঙের মাছ চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন ঠাকুরগাঁওয়ের গোলাম মর্তুজা মনা৷ প্রথমে শখের বসে রঙিন মাছ চাষ শুরু করলেও বর্তমানে বানিজ্যিক ভাবে চাষ করে ব্যাপক সফলতা অর্জন করেছেন।

তিনি বর্তমানে রঙিন মাছ বিক্রি করে মাসে গড়ে ২০-৩০ হাজার টাকা আয় করছেন। এতে এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে, তার এ সফলতায় জন্য অনেকে এ ধরনের মাছ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।

ইট, পাথর, সিমেন্টে গড়া ভীষণ ব্যস্ত জীবন ব্যবস্থায় এক পলকের জন্য চোখ আটকে যায় বাহারি রঙবেরঙের অ্যাকুরিয়ামের ওপর৷ ক্রমশ-র জনপ্রিয়তা বেড়েই চলছে। মনের তৃপ্তির পাশাপাশি শোভাবর্ধক হিসেবে ঘরের মধ্যে কাচের শিট দিয়ে ঘেরা এক কৃত্রিম জলাধার।

                                 রঙিন মাছ

বাড়ির ছাঁদকে কাজে লাগানোর ভাবনা থেকে রঙিন মাছ চাষ করে সফল হয়েছেন এক চিকিৎসক।

ঠাকুরগাঁও পৌরশহরের সরকারপাড়ার বাসিন্দা গোলাম মর্তুজা মনা। পেশায় তিনি একজন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক। আড়াই বছর আগে শখের বসে শুরু করেন রঙিন মাছ চাষ। বাজারে চাহিদা থাকায় বছর ঘুরতে না ঘুরতে সফলতার মুখ দেখেন তিনি৷ স্বল্প সময়ে তার এমন সফলতা দেখে রঙিন মাছ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন অনেকে৷

জেলা মৎস্য অফিসের দেওয়া তথ্যমতে, জেলায় বিদেশি জাতের রঙিন মাছ চাষ করেন ২০ জন উদ্যোক্তা। ইতিমধ্যে এ মাছ চাষে সফলও হয়েছেন অনেকে। আর ক্রমশ বাড়ছে এ মাছ চাষের প্রবণতা৷

মনার খামারে গাপ্পি, গোল্ড ফিশ, কমেট, কই কার্ভ, ওরেন্টা গোল্ড, সিল্কি কই, মলি, গাপটিসহ ২০ প্রজাতির রঙিন মাছ আছে৷ প্রতি মাসে গড়ে মাত্র ৫০০ টাকার খাবার খরচ হয় তার। খামার থেকে পাইকারি দরে মাছ বিক্রির পাশাপাশি বিক্রি করা হয় খুচরা দরে। মাছ বিক্রি করেই প্রতি মাসে আয় করছেন ২০ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা৷

রঙিন মাছ চাষে সফলতা অর্জন করায় প্রতিনিয়ত তার বাড়িতে ভীড় জমাচ্ছেন বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ। রঙবেরঙের মাছ আর স্বল্প ব্যয়ে অধিক লাভের কথা শোনে রঙিন মাছ চাষে আগ্রহ জানিয়েছেন অনেকে৷

রঙ্গিন মাছ দেখতে আসা আশরাফুল ইসলাম বলেন, মনা ভাই ছাদে মাছ চাষ করে শুনেছিলাম। আজকে নিজের চোখে দেখলাম। এত অল্প পরিসরে আয় করা সম্ভব জানা ছিল না। উনার কাছে আমিও এই মাছ চাষ সম্পর্কে জেনে নিব।

মাছ কিনতে আসা শিরিন আক্তার বলেন, আমার বাসায় একুরিয়াম আছে। আমি মনা ভাই এর এখান থেকে মাছ নিয়ে যাই। রঙ্গিন মাছ ঘরের সৌন্দয্য বৃদ্ধি করে।

সফল উদ্যোক্তা গোলাম মর্তুজা মনা বলেন,
বাড়ির ছাদকে কাজে লাগানোর দৃঢ় প্রত্যয়ে শখের বসে রঙিন মাছ চাষ শুরু করি৷ অনেক অল্প সময়ের মধ্যে সফলতা পেয়েছি। মৎস্য অধিদপ্তর ও সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা আরো বেশী পেলে মাছ চাষের পরিধি বাড়াতে চাই। সেই সাথে কেউ যদি আগ্রহী হয় আমার পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগীতা করব।

ঠাকুরগাঁও জেলা মৎস্য সম্পদ কর্মকর্তা খালিদুজ্জামান বলেন, জেলায় আগের চেয়ে বেড়েছে বিদেশি প্রজাতির রঙিন মাছ চাষ। উদ্যোক্তা গোলাম মর্তুজার পাশাপাশি নতুন কেউ রঙিন মাছ চাষ আগ্রহী হলে সার্বিক সহযোগী করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :
  • আপডেট সময় : ১০:০২:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৩ ৪২৯ বার পড়া হয়েছে

    • আপনি কি banglarjonopath.com এর নিয়মিত পাঠক?

      View Results

      Loading ... Loading ...
  • পুরনো ফলাফল
    Logo
    শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
    ফজর শুরু৪:০৭
    জোহর শুরু১২:০৫
    আসর শুরু৪:৪২
    মাগরিব শুরু৬:৪০
    ইশা শুরু৮:০৩
    সূর্যোদয় :৫:২৯সূর্যাস্ত :৬:৩৫

    ঠাকুরগাঁওয়ে রঙিন মাছ চাষ করে বদলে গেল মর্তুজার জীবন।

    আপডেট সময় : ১০:০২:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৩

    মোঃ মামুন অর-রশীদ, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধিঃ
    বাড়ির ছাদে বিভিন্ন প্রজাতির বাহারি রঙের মাছ চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন ঠাকুরগাঁওয়ের গোলাম মর্তুজা মনা৷ প্রথমে শখের বসে রঙিন মাছ চাষ শুরু করলেও বর্তমানে বানিজ্যিক ভাবে চাষ করে ব্যাপক সফলতা অর্জন করেছেন।

    তিনি বর্তমানে রঙিন মাছ বিক্রি করে মাসে গড়ে ২০-৩০ হাজার টাকা আয় করছেন। এতে এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে, তার এ সফলতায় জন্য অনেকে এ ধরনের মাছ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।

    ইট, পাথর, সিমেন্টে গড়া ভীষণ ব্যস্ত জীবন ব্যবস্থায় এক পলকের জন্য চোখ আটকে যায় বাহারি রঙবেরঙের অ্যাকুরিয়ামের ওপর৷ ক্রমশ-র জনপ্রিয়তা বেড়েই চলছে। মনের তৃপ্তির পাশাপাশি শোভাবর্ধক হিসেবে ঘরের মধ্যে কাচের শিট দিয়ে ঘেরা এক কৃত্রিম জলাধার।

                                     রঙিন মাছ

    বাড়ির ছাঁদকে কাজে লাগানোর ভাবনা থেকে রঙিন মাছ চাষ করে সফল হয়েছেন এক চিকিৎসক।

    ঠাকুরগাঁও পৌরশহরের সরকারপাড়ার বাসিন্দা গোলাম মর্তুজা মনা। পেশায় তিনি একজন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক। আড়াই বছর আগে শখের বসে শুরু করেন রঙিন মাছ চাষ। বাজারে চাহিদা থাকায় বছর ঘুরতে না ঘুরতে সফলতার মুখ দেখেন তিনি৷ স্বল্প সময়ে তার এমন সফলতা দেখে রঙিন মাছ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন অনেকে৷

    জেলা মৎস্য অফিসের দেওয়া তথ্যমতে, জেলায় বিদেশি জাতের রঙিন মাছ চাষ করেন ২০ জন উদ্যোক্তা। ইতিমধ্যে এ মাছ চাষে সফলও হয়েছেন অনেকে। আর ক্রমশ বাড়ছে এ মাছ চাষের প্রবণতা৷

    মনার খামারে গাপ্পি, গোল্ড ফিশ, কমেট, কই কার্ভ, ওরেন্টা গোল্ড, সিল্কি কই, মলি, গাপটিসহ ২০ প্রজাতির রঙিন মাছ আছে৷ প্রতি মাসে গড়ে মাত্র ৫০০ টাকার খাবার খরচ হয় তার। খামার থেকে পাইকারি দরে মাছ বিক্রির পাশাপাশি বিক্রি করা হয় খুচরা দরে। মাছ বিক্রি করেই প্রতি মাসে আয় করছেন ২০ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা৷

    রঙিন মাছ চাষে সফলতা অর্জন করায় প্রতিনিয়ত তার বাড়িতে ভীড় জমাচ্ছেন বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ। রঙবেরঙের মাছ আর স্বল্প ব্যয়ে অধিক লাভের কথা শোনে রঙিন মাছ চাষে আগ্রহ জানিয়েছেন অনেকে৷

    রঙ্গিন মাছ দেখতে আসা আশরাফুল ইসলাম বলেন, মনা ভাই ছাদে মাছ চাষ করে শুনেছিলাম। আজকে নিজের চোখে দেখলাম। এত অল্প পরিসরে আয় করা সম্ভব জানা ছিল না। উনার কাছে আমিও এই মাছ চাষ সম্পর্কে জেনে নিব।

    মাছ কিনতে আসা শিরিন আক্তার বলেন, আমার বাসায় একুরিয়াম আছে। আমি মনা ভাই এর এখান থেকে মাছ নিয়ে যাই। রঙ্গিন মাছ ঘরের সৌন্দয্য বৃদ্ধি করে।

    সফল উদ্যোক্তা গোলাম মর্তুজা মনা বলেন,
    বাড়ির ছাদকে কাজে লাগানোর দৃঢ় প্রত্যয়ে শখের বসে রঙিন মাছ চাষ শুরু করি৷ অনেক অল্প সময়ের মধ্যে সফলতা পেয়েছি। মৎস্য অধিদপ্তর ও সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা আরো বেশী পেলে মাছ চাষের পরিধি বাড়াতে চাই। সেই সাথে কেউ যদি আগ্রহী হয় আমার পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগীতা করব।

    ঠাকুরগাঁও জেলা মৎস্য সম্পদ কর্মকর্তা খালিদুজ্জামান বলেন, জেলায় আগের চেয়ে বেড়েছে বিদেশি প্রজাতির রঙিন মাছ চাষ। উদ্যোক্তা গোলাম মর্তুজার পাশাপাশি নতুন কেউ রঙিন মাছ চাষ আগ্রহী হলে সার্বিক সহযোগী করা হবে।