ঠাকুরগাঁওয়ে হাস্কিং মিলে বিস্ফোরণে একই পরিবারের নিহত ৩ ও আহত ২!
মোঃ মামুন অর-রশীদ, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ে হাস্কিং মিলের বয়লার বিস্ফোরণে একই পরিবারের তিনজন নিহত ও দুইজন আহত হয়েছেন।
সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের পল্লীবিদ্যুৎ বাজারের দাসপাড়া এলাকায় আজ বৃহস্পতিবার সাড়ে আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতেরা হলেন দাসপাড়া এলাকার সাগর দাসের স্ত্রী দীপ্তি রানী (৪২) ও তাঁর মেয়ে পুজা দাস (১১) এবং উমাকান্ত দাসের ছেলে পুলক দাস (১২)। আহতরা হলেন—সাগর দাস(৪৫) ও পথচারি নিখিল ( ৪০)। তারা প্রত্যেকে বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে রোদ পোহাচ্ছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় রাইসমিল ব্যবসায়ী সাইদুর রহমানের রাইস মিলের শ্রমিকেরা ধান সিদ্ধ করার জন্য বয়লারের স্টিম তোলেন। শ্রমিকেরা বয়লার বন্ধ রেখে অন্য কাজে গেলে অতিরিক্ত চাপে বিস্ফোরিত হয়ে বয়লাটি দাসপাড়ায় গিয়ে পড়ে। এ সময় বাড়ির বাইরে রোদ পোহাতে থাকা দীপ্তিদের ওপর গিয়ে পড়লে তাদের দেহগুলো খণ্ড-বিখণ্ড হয়ে যায়। ঘটনা ঘটার সময় মিলের মালিক সেখানে ছিলেন না তবে এ ঘটনার পর থেকে রাইস মিলের মালিক সাইদুর রহমান ও শ্রমিকদের খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনা পর পরই বিক্ষুব্ধ জনতা সাইদুর রহমানের বাড়িতে হামলা চালায় এবং বাড়ির গেট ও জানালার থাই গ্লাস ভেঙে দেয়।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের দিনাজপুর অঞ্চলের সহকারী পরিচালক আমিরুল ইসলাম সরকার বলেন, বালিয়াডাঙ্গী রোডে দাসপাড়া মোড়ে হাস্কিং মিলের ধান সেদ্ধা করার বয়লার বিস্ফোরণের খবর পাওয়ার পর পরই আমাদের টীম আসে এবং পর্যবেক্ষণ করে আমরা যেটা পেলাম অতিরিক্ত ভাপটা বের হতে পারেনি বা হাফগুলো বন্ধ থাকার কারণে অতিরিক্ত ভাপের কারণে বয়লারটি বিস্ফোরণের ফলে বয়লারটি মন্দিরে কাছে পৌঁছে এতে তিনজন নিহত হয়। তিনি আরও বলেন, প্রতি তিনমাস পর পর হাফগুলো ওয়াস করলে এ ধরনের ঘটনা ঘটতো না।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার (এসপি) উত্তম কুমার পাঠক বলেন, ঘটনাস্থলে ফোর্স পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। জড়িতদের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।