ঠাকুরগাঁওয়ে আগুনে পুড়ে ৩১ পরিবার নি:স্ব, খোলা আকাশের নিচে ঠিকানা।
মোঃ মামুন অর-রশীদ, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ে গবাদিপশুর মশা তাড়ানোর জন্য হাতে তৈরি ধুপ থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে ৩১ টি পরিবার পুড়ে নি:স্ব,এখন খোলা আকাশের নিচে ঠিকানা।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আখানগর ইউনিয়নের মধ্য ঝাড়গাঁও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, সন্ধ্যায় আশরাফ আলীর পরিবার গোয়াল ঘরে গরু ঢুকানোর পরে হাতে তৈরি ভুতি (ধুপ) জ্বালায় । কিছুক্ষণ পর ধূপের আগুন থেকে এই আগুনের উৎপত্তি হয়। আগুন মুহুর্তেই সারা ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। এতে গোয়াল ঘরে থাকা তিনটি গরু পুড়ে যায় এবং চারটি ছাগল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। নিমিষেই গোটা এলাকা আগুন ছড়িয়ে পড়লে ৩১টি পরিবারের সবগুলো ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে নগদ প্রায় ৩ লাখ টাকা, আসবাবপত্র ও অন্যান্য মালামালও পুড়ে যায়। আনুমানিক ক্ষয়ক্ষতি ৩০ লাখ টাকার অধিক।
এই সময় ক্ষতিগ্রস্ত ইয়াসিন আলী বলেন, আমি আশরাফ চাচার বাড়ি থেকে ধোঁয়া দেখতে পাই আর কিসের ধোঁয়া বলে চিৎকারও দিই, কিন্তু কেউ সাড়া দেয়নি চোখের পলকে আগুন সমস্ত বাড়িতে ছড়িয়ে যায়। বাড়ির আসবাবপত্রসহ মূল্যবান জিনিসপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এখন এই ক্ষতি যে কিভাবে কাটিয়ে উঠব তা বুঝতে পারছি না।
এই বিষয়ে ২ নং আখানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রোমান বাদশা বলেন, আমি খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে যায় এবং গিয়ে দেখি যে, আমার যাওয়ার পূর্বেই ৩১টি পরিবারের বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে, সাথে তিনটি গরু পুড়ে গেছে, চারটি ছাগল পুড়ে মারা গেছে,ধান,চালসহ নগদ আনুমানিক ৩ লক্ষ টাকা আগুনে পুড়ে গেছে। ৩১ টি পরিবারে মোট ক্ষয়ক্ষতি প্রায় ৩০ লাখ টাকা।
এই সময় তিনি আরো জানান ক্ষতিগ্রস্তদের পরনের কাপড় ছাড়া আর কোনো কিছুই অবশিষ্ট নেই।
তিনি আরও বলেন, উপজেলা প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবারকে শুকনো খাবার, চাল, ডাল সয়াবিনতেল ও ৪টি করে কম্বল পাঠিয়েছিলেন সেগুলো বিলি করা হয়েছে।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন বলেন, ৩১টি পরিবারের জন্য প্রয়োজনীয় সরকারি সহায়তা পাঠানো হয়েছে। আগামীকাল(বৃহস্পতিবার) দুপুরের মধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবো সাথে কিছু নগদ সহায়তা দেওয়ার ব্যবস্থা করবো ।