নাটোরে ধর্ষণ মামলার আসামি ভুয়া পুলিশ কর্মকর্তা গ্রেফতার।
নাটোরে ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামি মিজানুর রহমান (৩১) নামে এক ভুয়া পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৫)।
রোববার (৯ জুলাই) দিবাগত রাতে লালপুর উপজেলার গোপালপুর দাইড়পাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
সোমবার (১০ জুলাই) সকালে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে নাটোর র্যাব ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফরহাদ হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।
গ্রেফতার মিজানুর রহমান(৩১) বাগাতিপাড়া উপজেলার চন্দ্রখৈর গ্রামের আফছার সরদারের ছেলে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফরহাদ হোসেন জানান, ভুক্তভোগী নারীর সঙ্গে অভিযুক্ত আসামি মিজানুর রহমানের ফেসবুকে পরিচয় হয়। পরিচয় হওয়ার পর থেকে আসামি ও ভিকটিম ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে কথাবার্তা শুরু হয়। আসামি মো. মিজানুর রহমান বিভিন্ন সময় তার ফেসবুক আইডিতে পুলিশের ছবি আপলোড করে নিজেকে পুলিশ সাব-ইন্সপেক্টরের পরিচয় দিতেন।
কথাবার্তা চলাকালে আসামি কৌশলে ভিকটিমের কিছু গোপন ছবি সংগ্রহ করে এবং এক পর্যায়ে আসামি ভিকটিমকে শারীরিক সম্পর্কের কুপ্রস্তাব দেয়। ভিকটিম কুপ্রস্তাবে রাজি না হলে আসামির কাছে থাকা ভিকটিমের গোপন ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়।
পরবর্তীতে আসামি মিজানুর ছবি ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলে গত ১২ মে ভুক্তভোগীর বাড়িতে যায়। সেখানে কেউ না থাকার সুযোগে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং ৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে চলে যায়। পরে ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে দু’দফায় আরও ৩৩ হাজার টাকা নেয়।
এরপর আসামি আরও টাকা দাবি করতে থাকলে ভিকটিম কোনো উপায় না পেয়ে নাটোর সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।
র্যাব আরও জানায়, মামলার পর আসামি মিজানুর গ্রেফতার এড়াতে বিভিন্ন সময় ছদ্মবেশ ধারণ করে ঘন ঘন স্থান পরিবর্তন করতে থাকে। পরে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব রোববার দিবাগত রাতে লালপুর উপজেলায় অভিযান চালিয়ে দাইড়পাড়া গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে অভিযুক্ত আসামি মিজানুর রহমানকে নাটোর সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়।