না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন সবার প্রিয় ঠাকুরগাঁওয়ের আজিজ ভাই।
না ফেরার দেশে চলে গেলেন প্রতিভাবান চিত্র শিল্পী আবদুল আজিজ।
মঙ্গলবার ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে সকাল ৮.৩০ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬২ বছর।
তাঁর মৃত্যুতে শোকের কালো ছায়া নেমে এসেছে জেলা জুড়ে। আজিজের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে অসংখ্য ধর্মপ্রাণ মানুষ ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন।
নেটিজেনরা মরহুমের রূহের মাগফিরাত কামনার পাশাপাশি শোকার্ত পরিবার পরিজনকে ধৈর্য ধারণ করতে পারেন সেজন্য আল্লাহর দরবারে দোয়া প্রার্থনা করেন।
এর আগে ফুচকা বিক্রেতা থেকে চিত্র শিল্পী হওয়ার সংবাদটি বিভিন্ন সময়ে একাধিক গণমাধ্যমে তাঁকে নিয়ে প্রকাশিত হয়।
জানা যায়, গত ৩৯ বছর ধরে ঠাকুরগাঁও শহরের জেলা স্কুল মাঠের এক কোণে চটপটি ও ফুচকা বিক্রি করতেন আজিজ। তাঁর দোকানের নাম ‘ছবি চটপটি ঘর’। তবে নেশা ছিল তার রাতে ছবি আঁকা।
১৯৮৪ সালে শুরু করে সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বিক্রি করে চটপটি ও ফুচকা। ফুচকা বিক্রিকে পেশা আর ছবি আঁকাকে নেশা হিসেবে গ্রহণ করে শুরু হয় রাত জেগে ছবি আঁকা।
ছবি আঁকায় প্রাতিষ্ঠানিক কোনো শিক্ষা বা প্রশিক্ষণ নেই আজিজের। জানা নেই চিত্রাঙ্কনের ব্যাকরণ। তারপরও তাঁর আঁকা ১১টি চিত্রকর্ম ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছিল জেলা শহরের পাঠাগার মিলনায়তনে ছবি প্রদর্শনীতে।
৬৫ বছর বয়সী আজিজের শেষ ইচ্ছে ছিল ঢাকার যে কোন একটি আর্ট কলেজে ভর্তি হওয়ার। এবং তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা একটাই ছবি এঁকে যাওয়া। আর সে ছবি গুলো ঢাকায় একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করতে পারলেই তার সব ইচ্ছে ও স্বপ্ন পূরণ হবে।