নিজে জাল সনদে শিক্ষক,সাড়ে ৮ লাখ টাকায় আরেক জনকেও নিয়োগ।
শাহজাহান আকন্দ, ভ্রাম্যমান প্রতিনিধিঃ নিজে জাল এনটিআরসি সনদে কলেজে শিক্ষকতা নিয়ে ধরা খেয়ে চাকুরীচ্যুত হয়েছেন।তদুপরি সাড়ে ৮ লাখ টাকার বিনিময়ে অপর একজনকেও ভূয়া সনদে চাকুরী দিয়ে প্রতারনা করেছেন মর্মে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নরসিংদী, মনোহরদী উপজেলার শরীফপুর গ্রামের মৃত সিরাজ উদ্দীনের পুত্র সোহরাব হোসেন এনটিআরসি সনদ জালিয়াতির মাধ্যমে উপজেলার খিদিরপুর ডিগ্রী কলেজে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রভাষক পদে চাকুরী নেন। যথারীতি তার এমপিওভূক্তিও ঘটে। পরে সেখানে জালিয়াতির ঘটনা ধরা পড়ে চাকুরীচ্যুত হন তিনি।
এতে তার এমপিও বাতিল হয়। এ ছাড়াও সোহরাব হোসেনের বিরুদ্ধে তার নিজ গ্রাম শরীফপুরের হারিছ উদ্দীনের মেয়ে আছমা আক্তারকে সাড়ে ৮ লাখ টাকার বিনিময়ে জাল এনটিআরসি সনদ, সুপারিশে বেলাব উপজেলার দলিরপাড় উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দানের অভিযোগ উঠেছে।
আছমা বেগমের বড় ভাই আঃ রশিদ জানান, সেখানে ১৪ মাস চাকুরী করার পরও তার বোনের এমপিও (মান্থলী পেমেন্ট অর্ডার) না হবার পর তারা সোহরাব হোসেনের জাল জালিয়াতির ঘটনাটি টের পান।ফলে সোহরাব হোসেনকে টাকা ফেরৎ দিতে চাপ প্রয়োগ করেও কোন সুফল পাননি। এমতাবস্থায় সম্প্রতি তিনি মনোহরদী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ পেশ করেছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সোহরাব হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, এটি সম্পূর্ন একটি অপপ্রচার।বিষয়টি তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র একটি। এ ব্যাপারে মনোহরদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাছিবা খানের সাথে যোগাযোগ করা হলে অভিযোগের বিষয়ে যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।