১২’শ লোক মে’রে ১২ পদের রান্না করে উল্লাস করছিল হাসিনা–মামুনুল হক
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হক বলেছেন, শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট দুপুরে গণভবনে ১২ পদের রান্না করে বুফে লাঞ্চের আয়োজন করেছিল।
৫ আগস্টে পুলিশের গুলিতে যখন ছাত্র জনতার বুক ঝাঁঝরা হয়েছিল, তখন শেখ হাসিনা গণভবনে বসে বারো পদের রান্না করে খাবার খায়। এর দ্বারা বুঝা যায় দেশের মানুষকে নিয়ে তার কোন ভাবনা ছিল না। দেশের মানুষ মরলেই সে খুশি হতো।
দেশে ১২’শ মানুষ মরেছে আর হাসিনা গণভবনে ১২’পদের রান্নার আইটেম করে এই হত্যা যজ্ঞকে উদযাপন করেছে।
তিনি আরোও বলেন, এ দেশের মানুষের প্রতি তার কনো আস্থা ছিলনা। হাসিনার চিন্তা ছিল বাংলাদেশের রাজনীতির ১২টা বাজিয়ে দেশ ছেলে পালিয়ে যাওয়া। তাই তার ছেলে, মেয়ে এবং বোনকেও রাজনীতিতে আসতে দেয় নাই।
তিনি তার নেতাকর্মীদের কথা দুইমিনিট ও ভাবেন নাই। তার চিন্তা ছিল নিজের পরিবার নিয়ে। তাই তিনি এভাবে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন।
আজ (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস জেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত গণসমাবেশে ঠাকুরগাঁও জেলা শহরের পাবলিক ক্লাব মাঠে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
মামুনুল হক বলেন, জমিনে আমাদের বন্ধু থাকতে পারে। প্রভু থাকতে পারে না। কোন শক্তি যদি আধিপত্য বাদ দিয়ে, পেশি শক্তি দিয়ে আমাদের উপর প্রভুত্ববাদের চেষ্টা করে, তাহলে তাদের চোখ উপড়ে ফেলবো আমরা।
আমাদের পরিষ্কার কথা বন্ধুসুলভ আচরণ করবেন বন্ধুত্বের প্রতিদান পাবেন। প্রভুত্ব করবার চেষ্টা করবেন, আমরা সে হাত ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিতে কালক্ষেপন করবো না।
তিনি বলেন, আমাদেরকে কেউ দুর্বল ভাববেন না যে দেশের মায়ের আদর্শ সন্তানদেরকে যুদ্ধে পাঠিয়ে। আধিপত্যের বিরুদ্ধে, লড়াই করার জন্য প্রেরণা যোগাতে পারে, সে জাতিকে কেউ থামিয়ে রাখতে পারবে না।
বিএনপি জামায়াতসহ সমস্ত শক্তিগুলো ঐক্যবদ্ধ হয়েও এই ফ্যাসিবাদ শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে অপসারণ করতে পারে নাই। যা ছাত্ররা করে দেখিয়েছে। ছাত্রদের ভয়ে ভারতে পালিয়েছে হাসিনা। বাংলাদেশের এই আগস্টের বিপ্লবকে ইসলাম বিরোধী ধারায় প্রচারিত করবার চেষ্টা করা হলে রক্ত দিয়ে আমরা রুখে দাঁড়াবো।
এদেশের ইসলামপন্থীরা সংখ্যালঘুদের প্রতিটি স্থাপনা রক্ষায় আগের মতই ইসলামী দলগুলো ভূমিকা পালন করবে। যতদিন পর্যন্ত আমাদের চূড়ান্ত গন্তব্যে পৌঁছাতে না পারবো ততদিন সংগ্রাম চলবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মোঃ মামুন অর-রশীদ, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নে জমিসংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় তোতা মিয়া (৫৬) নামে ১ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের চণ্ডিপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত তোতা মিয়া ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চণ্ডিপুর গ্রামের মৃত গোলাম রসুলের ছেলে।
এলাকা সূত্রে জানা যায়, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামে দীর্ঘদিন ধরেই একটি জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। সেই জমিতে ৮ সেপ্টেম্বর রবিবার সকাল ১০টায় নিহত তোতা মিয়া এবং তার ভাতিজা বাদল আমন খেতে সার দিতে যায়। এ সময় অপরপক্ষের রশিদ, আইজুল, মোখলেছুর তোতা মিয়াকে মারধর করে। তাকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে এলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। নিহত তোতা মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ মামুন বলেন, আমি আমার বাবা হত্যার বিচার চাই।
এ বিষয়ে চন্ডিপুর গ্রামের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, এই জমি নিয়ে তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই বিরোধ চলে আসছিল। এর আগেও এলাকাবাসী মিলে আমরা বসে সমাধানের চেষ্টা করেছি। আজকে সকালে শুনতে পারি যে জমি নিয়ে একটি মারামারির ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় তোতা মিয়া মারা যান। ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে মেডিকেল অফিসার রকিবুল ইসলাম চয়ন বলেন, তোতা মিয়াকে মূলত মৃত অবস্থায় নিয়ে আসা হয়। কী কারণে তিনি মারা গেলেন তা ময়না তদন্তের মাধ্যমে জানা যাবে।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবি. এম. ওয়াহিদ ফিরোজ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, জমি জমা সংক্রান্ত মারামারির কারণে তোতা মিয়া নামে এক ব্যক্তি মারা গেছে। মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনা তদন্তে কাজ করছে পুলিশ।