1. dainikjonopath@gmail.com : admin :
  2. black@prostpro.fun : Alfonsoqyp : KelvinneuthVL KelvinneuthVL
  3. 99@dianabykiris.fun : Anya99Pt : Anya99PtBW Anya99PtBW
  4. leavezl@gazeta.pl : elena48259200 :
  5. also@triol.site : fatimamulley504 :
  6. pazapz@mailbox.in.ua : Get Free Bitcoin Now hs30578eed2bb3dc1611606fee3669360f :
  7. tnowvvpo@mailkv.com : heidicascarret :
  8. suzannamichell@solstris.com : hollydubois7865 :
  9. aahsanmanik@gmail.com : M A Manik :
  10. belindaandres@solstris.com : maxinecissell :
  11. mellissa.healey_1913@spacemail.click : mellissahealey :
  12. me.g.astopla.y@gmail.com : Melvinjab :
  13. kvhmiird@bientotmail.com : NARETGR1522310NERTHRTYHR :
  14. riazuddin137990@gmail.com : Riaz Uddin :
  15. rekeuoge@mailkv.com : rockypleasant :
  16. jadajaime@solstris.com : rollandwainscott :
  17. ybznhaok@oonmail.com : santosj73168960 :
  18. mariloueverett@anonmails.de : sharyllocke :
  19. interest@prostpro.fun : Travisiq :
  20. sherrierodger@solstris.com : vivienali1684 :
ঢাকা ০৯:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

২১ বছর পর ভারত থেকে ফিরলো নিখোঁজ মতিউর।

মোঃ মামুন অর-রশীদ, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধিঃ

সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

হারানোর ২১ বছর পর ভারত থেকে মায়ের কোলে ফিরলেন ছেলে মানসিক ভারসাম্যহীন মতিউর রহমান ২০০২ সালে নিখোঁজ হন। তখন মতিউরের বয়স ১৩ বছর। এরপর থেকে পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করেছেন তাকে। থানায় সাধারণ ডায়েরিও করেছিলেন অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য বাবা শহিদুল ইসলাম। ২১ বছর পর অবশেষে ভারত থেকে ছেলেকে ফেরত পেলেন বাবা-মা। এখন তিনি ৩৪/৩৫ বছরের যুবক।

পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে শুক্রবার (২১ জুলাই) দুপুর আড়াইটার দিকে দেশে ফেরেন মতিউরসহ ভারতের শ্রদ্ধা ফাউন্ডেশনের সমাজকর্মী নিতীশ শর্মা এবং চিকিৎসক সারওয়ালি কে কোনডুউইলকা।

মতিউর রহমান ঠাকুরগাঁও উপজেলা সদরের আখানগর ইউনিয়নের দক্ষিণ ঝাড়গাঁও (দেবীডাঙ্গা) গ্রামের সহিদুল ইসলামের বড় ছেলে। পরিবারের ধারণা, আখানগর ইউনিয়নের কান্তিভিটা ধোনতলা সীমান্ত হয়ে ভারতের পাচির সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতের উত্তর দিনাজপুরে চলে যান তিনি।

২০১৯ সালের জুনে ভারতের মহারাষ্ট্র থেকে মতিউরকে উদ্ধার করেন ভারতের ‘শ্রদ্ধা পুনর্বাসন ফাউন্ডেশন’র সমাজকর্মীরা। এ সংস্থার পক্ষ থেকে মানসিক ভারসাম্যহীন মতিউরের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর তাকে সিজোফ্রেনিয়া রোগী হিসেবে শনাক্ত করা হয়। এরপর শ্রদ্ধা পুনর্বাস ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসার মাধ্যমে গত ডিসেম্বরে তিনি সুস্থ হোন।

সুস্থতার পর মতিউরের কাছেই পরিবারের পরিচয় জানতে পারেন সংস্থাটিতে কর্মরত ব্যক্তিরা। সংস্থাটির সমাজকর্মী নীতিশ শর্মা তার বাংলাদেশের দুই বন্ধুর মাধ্যমে মতিউরের পরিবারের খোঁজ পান। তাদের সহযোগিতায় প্রথম বারের মতো ভিডিও কলের মাধ্যমে বাবা-মাসহ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন মতিউর।

এরপর দুই দেশের আইনি প্রক্রিয়া শেষে বাংলাদেশে ফেরত আসেন মতিউর। তাকে কাছে পেয়ে জড়িয়ে ধরেন বাবা-মাসহ স্বজনরা। সঙ্গে ছিলেন একমাত্র বোন সাইফুন্নাহারসহ পরিবারের সদস্যরা। আনন্দে কেঁদে ফেলেন তারা।

দেশে ফিরে মতিউর রহমান বলেন, আমি কখনোই ভাবতে পারিনি দেশে মা-বাবার কোলে ফিরতে পারবো। আমি অসুস্থ ছিলাম, যারা আমাকে দেশে ফিরিয়ে দিলো আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।

মতিউরের মা মর্জিনা বেগম বলেন, খোদার কাছে সন্তানের জন্যে কেঁদেছিলাম, খোদা আমার কথা শুনেছেন।

মতিউরের বাবা শহিদুল ইসলাম বলেন, সন্তান হারানোর কষ্ট যে কত কঠিন তা সবাই বুঝতে পারবে না। আমার পরিবার সেই কষ্ট বুঝেছে। যারা আমার সন্তানকে ফিরিয়ে দিয়েছেন আমি সারা জীবন তাদের কাছে কৃতজ্ঞ থাকবো।

ভারতের ‘শ্রদ্ধা পুনর্বাসন ফাউন্ডেশন’র সমাজকর্মী নিতীশ শর্মা বলেন, আমরা পথে-প্রান্তর থেকে মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষদের সুরক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করি। মতিউর রহমানকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে পেরে আমরা খুশি।

চিকিৎসক সারওয়ালি কে কোনডুউইলকার বলেন, মতিউরকে সুস্থ করতে পেরে তারা স্বার্থক।বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. খায়রুল ইসলাম বলেন, উভয় দেশের হাইকমিশনারদের নির্দেশে বিশেষ ব্যবস্থায় আমরা মতিউরকে গ্রহণ করেছি। সব আইনি কাজ শেষ করে আমরা তাকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবো।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :
  • আপডেট সময় : ১০:০৫:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জুলাই ২০২৩ ২৮১ বার পড়া হয়েছে

    • আপনি কি banglarjonopath.com এর নিয়মিত পাঠক?

      View Results

      Loading ... Loading ...
  • পুরনো ফলাফল
    Logo
    মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
    ফজর শুরু৪:০৭
    জোহর শুরু১২:০৫
    আসর শুরু৪:৪২
    মাগরিব শুরু৬:৪০
    ইশা শুরু৮:০৩
    সূর্যোদয় :৫:২৯সূর্যাস্ত :৬:৩৫

    ২১ বছর পর ভারত থেকে ফিরলো নিখোঁজ মতিউর।

    আপডেট সময় : ১০:০৫:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জুলাই ২০২৩

    হারানোর ২১ বছর পর ভারত থেকে মায়ের কোলে ফিরলেন ছেলে মানসিক ভারসাম্যহীন মতিউর রহমান ২০০২ সালে নিখোঁজ হন। তখন মতিউরের বয়স ১৩ বছর। এরপর থেকে পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করেছেন তাকে। থানায় সাধারণ ডায়েরিও করেছিলেন অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য বাবা শহিদুল ইসলাম। ২১ বছর পর অবশেষে ভারত থেকে ছেলেকে ফেরত পেলেন বাবা-মা। এখন তিনি ৩৪/৩৫ বছরের যুবক।

    পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে শুক্রবার (২১ জুলাই) দুপুর আড়াইটার দিকে দেশে ফেরেন মতিউরসহ ভারতের শ্রদ্ধা ফাউন্ডেশনের সমাজকর্মী নিতীশ শর্মা এবং চিকিৎসক সারওয়ালি কে কোনডুউইলকা।

    মতিউর রহমান ঠাকুরগাঁও উপজেলা সদরের আখানগর ইউনিয়নের দক্ষিণ ঝাড়গাঁও (দেবীডাঙ্গা) গ্রামের সহিদুল ইসলামের বড় ছেলে। পরিবারের ধারণা, আখানগর ইউনিয়নের কান্তিভিটা ধোনতলা সীমান্ত হয়ে ভারতের পাচির সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতের উত্তর দিনাজপুরে চলে যান তিনি।

    ২০১৯ সালের জুনে ভারতের মহারাষ্ট্র থেকে মতিউরকে উদ্ধার করেন ভারতের ‘শ্রদ্ধা পুনর্বাসন ফাউন্ডেশন’র সমাজকর্মীরা। এ সংস্থার পক্ষ থেকে মানসিক ভারসাম্যহীন মতিউরের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর তাকে সিজোফ্রেনিয়া রোগী হিসেবে শনাক্ত করা হয়। এরপর শ্রদ্ধা পুনর্বাস ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসার মাধ্যমে গত ডিসেম্বরে তিনি সুস্থ হোন।

    সুস্থতার পর মতিউরের কাছেই পরিবারের পরিচয় জানতে পারেন সংস্থাটিতে কর্মরত ব্যক্তিরা। সংস্থাটির সমাজকর্মী নীতিশ শর্মা তার বাংলাদেশের দুই বন্ধুর মাধ্যমে মতিউরের পরিবারের খোঁজ পান। তাদের সহযোগিতায় প্রথম বারের মতো ভিডিও কলের মাধ্যমে বাবা-মাসহ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন মতিউর।

    এরপর দুই দেশের আইনি প্রক্রিয়া শেষে বাংলাদেশে ফেরত আসেন মতিউর। তাকে কাছে পেয়ে জড়িয়ে ধরেন বাবা-মাসহ স্বজনরা। সঙ্গে ছিলেন একমাত্র বোন সাইফুন্নাহারসহ পরিবারের সদস্যরা। আনন্দে কেঁদে ফেলেন তারা।

    দেশে ফিরে মতিউর রহমান বলেন, আমি কখনোই ভাবতে পারিনি দেশে মা-বাবার কোলে ফিরতে পারবো। আমি অসুস্থ ছিলাম, যারা আমাকে দেশে ফিরিয়ে দিলো আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।

    মতিউরের মা মর্জিনা বেগম বলেন, খোদার কাছে সন্তানের জন্যে কেঁদেছিলাম, খোদা আমার কথা শুনেছেন।

    মতিউরের বাবা শহিদুল ইসলাম বলেন, সন্তান হারানোর কষ্ট যে কত কঠিন তা সবাই বুঝতে পারবে না। আমার পরিবার সেই কষ্ট বুঝেছে। যারা আমার সন্তানকে ফিরিয়ে দিয়েছেন আমি সারা জীবন তাদের কাছে কৃতজ্ঞ থাকবো।

    ভারতের ‘শ্রদ্ধা পুনর্বাসন ফাউন্ডেশন’র সমাজকর্মী নিতীশ শর্মা বলেন, আমরা পথে-প্রান্তর থেকে মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষদের সুরক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করি। মতিউর রহমানকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে পেরে আমরা খুশি।

    চিকিৎসক সারওয়ালি কে কোনডুউইলকার বলেন, মতিউরকে সুস্থ করতে পেরে তারা স্বার্থক।বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. খায়রুল ইসলাম বলেন, উভয় দেশের হাইকমিশনারদের নির্দেশে বিশেষ ব্যবস্থায় আমরা মতিউরকে গ্রহণ করেছি। সব আইনি কাজ শেষ করে আমরা তাকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবো।