৩ মাসের মধ্য নাটোরে কোনো সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজিকে খুঁজে পাওয়া যাবে না : পুলিশ সুপার
রিয়াজ হোসেন লিটু, নাটোরঃ আগামী ৩ মাসের মধ্য নাটোরে কোনো সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজিকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। নাটোরের মানুষের মাঝে শান্তি ফেরাতে যা যা করা প্রয়োজন তাই করা হবে। ৫ আগস্টের আগে দেশে যে সমস্থ পুলিশরা ছিল, তারা এখন আর নেই।
এখন থেকে নতুন করে ন্যায় প্রতিষ্ঠিত হবে। আমি যে ভিশন নিয়ে এসেছি, আমার সঙ্গে যাদের দেখছেন তারাও সেই একই ভিশনে কাজ করবো বলে জানিয়েছেন নাটোরের নবাগত পুলিশ সুপার মো. মারুফাত হুসাইন।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নাটোর পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে নবাগত পুলিশ সুপারের মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
পুলিশ সুপার মো. মারুফাত হুসাইন বলেন, নাটোরের মানুষের জানমালের নিরাপত্তা ও মানুষের মধ্যে আস্থা ফেরাতে এসেছি। কিছুসংখ্যক পুলিশের অপরাধের দায়ভার ডিপার্টমেন্ট নেবে না। আমি নতুন ভাবে যে কর্মসূচি নিয়ে আপনাদের মাঝে এসেছি। আমাকে যে দায়িত্ব দিয়ে পাঠানো হয়েছে তা মানুষের কল্যাণে কাজ করবো।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, বিপ্লবের মাধ্যমে যে অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে। সে সরকার আমার সম্পর্কে যাচাই-বাচাই করে করে যোগ্য ভেবে নাটোরের পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি সেই দায়িত্বকে গ্রহণ করে নাটোরে এসেছি। নাটোরের মানুষের কল্যাণে ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় আমার মূল লক্ষ্য। সেজন্য আপনাদের সহযোগিতা কামনা করছি।
আপনাদের সুপরামর্শ কাজ করে যেতে চাই। এবং বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রেরণের ক্ষেত্রে পুলিশ ও সাংবাদিকদের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় থাকবে।
এসময় সাংবাদিকরা বলেন, সাধারণ মানুষ হয়রানির শিকার না হয় সে ব্যাপারে লক্ষ্য রাখার জন্য পুলিশ সুপারের প্রতি অনুরোধ করেন। সভায় কর্মরত বিভিন্ন সাংবাদিকরা নাটোরের বিভিন্ন সমস্যারর কথা তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।
এসময় বক্তব্যে রাখেন—নাটোর প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরাজি আহমেদ রফিক বাবন, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান, নাটোর ইউনাইটেড প্রেসক্লাবের সভাপতি রেজাউল করিম রেজা, সাধারণ সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, মুক্তার হোসেন, হালিম খান, রনেন রায়, দেবাশীর্ষ কুমার সরকার, নাসিম উদ্দিন নাসিম প্রমুখ।
মত বিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন—অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. শরিফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মো. একরামুল হক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(সদর সার্কেল) মাহমুদা শারমীন নেলীসহ পুলিশের কর্মকর্তারা।