সাহিত্য চর্চা মানুষের কল্পনা ও সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিঃ কক্সবাজার সাহিত্য একাডেমির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভিত্তিক প্রতিভা অন্বেষণে বক্তারা
সাহিত্য চর্চা মানুষের কল্পনা ও সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করে।
শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চার মধ্যদিয়ে একজন শিক্ষার্থীর মানবীয় মূল্যবোধ, নৈতিকতা ও সামাজিক সংহতির পাশাপাশি অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধের মতো গুণাবলী অর্জন করে। যা সুস্থ সমাজ ও সু-নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠার জন্য অপরিহার্য।
‘শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল সাহিত্যচর্চায় উদ্বুদ্ধকরণ ও শিশুদের প্রতিভা অন্বেষণ’-এর অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার কক্সবাজার জেলার ঐতিহাবাহী আলোকিত বিদ্যাপীঠ কিশলয় আদর্শ শিক্ষা নিকেতনে ব্যতিক্রমধর্মী সাহিত্য প্রতিযোগিতার আলোচনা সভায় বক্তাগণ এ কথা বলেন।
“শিশু-কিশোরদের সুকুমার বৃত্তির বিকাশে এগিয়ে যাই, মেধা ও মননে সাহিত্যের বিকল্প নাই” প্রতিপাদ্যে কিশলয় অডিটোরিয়ামে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে জেলার একমাত্র প্রতিনিধিত্বশীল সাহিত্য সংগঠন কক্সবাজার সাহিত্য একাডেমি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন একাডেমির সহ সভাপতি, সদ্য অবসরপ্রাপ্ত জেলা শিক্ষা অফিসার, ছড়াকার মো. নাছির উদ্দিন।
তিনি বলেন, সাহিত্য শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি নানা বয়সের মানুষের মননশীলতা ও সৃজনশীলতা বিকাশে সাহায্য করে এবং বিভিন্ন অপরাধমূল কাজ থেকে বিরত রাখে।
অনুষ্ঠানে একাডেমি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ও প্রতিভা অন্বেষণ কর্মসূচির সম্পর্কে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি, বিশিষ্ট লোকজ গবেষক, কক্সবাজার ইতিহাস গ্রন্থসহ বহু বইয়ের প্রণেতা সাংবাদিক মুহম্মদ নুরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, সাহিত্য চর্চা মানুষের কল্পনা ও সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করে বলে শিশু-কিশোরদের প্রতিভা অন্বেষণের মাধ্যমে সাহিত্য ও সংস্কৃতিবান মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে সাহিত্য একাডেমি। এতে করে শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে সাহিত্য মনস্ক করে গড়ে উঠতে সহায়তা করবে।
একাডেমি-ই একমাত্র প্রতিষ্ঠান যারা শিশু-কিশোরদের এভাবে গড়ে তুলতে স্কুল পর্যায়ে গিয়ে এসব কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। অন্যতায় একজন শিক্ষার্থী আদর্শবান মানুষ হতে পারে না বলে অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।
বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারি শিক্ষক ফাতেমা জান্নাতের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন একাডেমির অর্থবিষয়ক সম্পাদক কবি মোহাম্মদ আমিরুদ্দীন, পোকখালী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, একাডেমির নির্বাহী কমিটির সদস্য, কবি শফিউল আলম শফি ও একাডেমির নির্বাহী কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, লেখক, গবেষক, কবি ও সাংবাদিক আজাদ মনসুর।
প্রতিভা অন্বেষণ কর্মসূচির মধ্যে ছিলো স্বরচিত-ছড়া, কবিতা, প্রবন্ধ, গল্প লিখন ও কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতা। এবারের প্রতিযোগিতায় ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ‘খ’ গ্রুপ ও নবম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ‘গ’ গ্রুপে বিভক্ত ছিল। বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন কবি মোহাম্মদ আমিরুদ্দীন, কবি শফিউল আলম শফি, কবি ও সাংবাদিক আজাদ মনসুর।
এসময় বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারি শিক্ষক মীর মোহাম্মদ জুনাইদ, শিক্ষক-শিক্ষিকাসহ তিন শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। পরে বিজয়ী শিক্ষার্থীদের পুরস্কার হিসেবে বই ও সনদ প্রদান করা হয়।








