ঠাকুরগাঁওয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতির উপর সন্ত্রাসী হামলার মামলায় প্রধান শিক্ষক জেল হাজতে!
মোঃ মামুন অর-রশীদ, ঠাকুরগাও জেলা প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাও প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও রুহিয়া মধুপুর কাকলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বদরুল ইসলাম বিপ্লবের উপর সন্ত্রাসী হামলার মামলায় প্রধান শিক্ষক সুদেব চন্দ্র বর্মনকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার প্রধান শিক্ষক সুদেব চন্দ্র বর্মন সহ ৪ জন আসামী সিনিয়র জুডিশিয়াল আমুলি আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন জানালে উভয় পক্ষের আইনজীবীদের শুনানী শেষে বিজ্ঞ বিচারক রাজিব কুমার চৌ: প্রধান শিক্ষক সুদেব চন্দ্র বর্মনের জামিন না মন্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
অপর ৩ আসামী সতীশ চন্দ্র বর্মন, বিপ্লব চন্দ্র বর্মন ও সত্য রাম বর্মনদের জামিনে মুক্তির আদেশ দেয়। জানা গেছে, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া মধুপুর কাকলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুদেব চন্দ্র বর্মন ওই বিদ্যালয়ে বিভিন্ন পদে লোক নিয়োগের জন্য বেশ কিছু লোকের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। তিনি তার মনোনীত লোকের চাকুরির নিশ্চয়তা না দেখে নিয়োগ কার্যক্রম বিভিন্ন অজুহাতে পিছানোর চেষ্টা চালায়।
এদিকে গত ৬ ফেব্রুয়ারি নতুন নীতিমালা অনুযায়ী ওই বিদ্যালয়ে সহ: প্রধান শিক্ষক, অফিস সহায়ক ও আয়া পদে লোক নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়। সে অনুযায়ী পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। এতে প্রধান শিক্ষক তার মনোনীত লোকদের চাকুরি দিতে না পারায় আশংকায় পড়ে সভাপতিকে বেকায়দায় ফেলার পরিকল্পনা আঁটে।
সে অনুযায়ী গত ১২ ফেব্রুয়ারী সকাল ১১ টায় প্রধান শিক্ষক সভাপতিকে ফোনে ডেকে এনে প্রধান শিক্ষক,সতিশ চন্দ্র বর্মন, বিপ্লব চন্দ্র বর্মন লক্ষন ও সত্য গোপাল সকলে মিলে সভাপতি সাংবাদিক বিপ্লবকে এলোপাথাড়ি মারপিট করে হত্যার চেষ্টা চালায়। এছাড়াও নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন ।
এতে আহত সভাপতিকে প্রত্যক্ষদর্শীরা উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করেন। তিনি সেখানে কয়েকদিন চিকিৎসার পর খানিকটা সুস্থ হয়ে প্রধান শিক্ষক সুদেব চন্দ্র বর্মন সহ ৪ জনকে আসামী করে ১৯ ফেব্রুয়ারী রুহিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আবু হানিফ দীর্ঘ তদন্ত শেষে ৩০ মার্চ দ:বি: ৩২৩/৩০৭/৩৮৫/৫০৬/৩৪ ধারায় আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) ধার্য তারিখে পুলিশের প্রদত্ত চার্জশিট গৃহিত হয়। ওইদিন প্রধান শিক্ষক সুদেব চন্দ্র বর্মন সহ ৪ আসামী সিনিয়র জুডিশয়াল আমলি আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন জানালে বিজ্ঞ বিচারক রাজিব কুমার চৌধুরী উভয় পক্ষের দীর্ঘ শুনানী শেষে প্রধান আসামী সুদেব চন্দ্র বর্মনের জামিনের আবেদন না মন্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয় এবং অপরাপর ৩ আসামী সতীশ চন্দ্র বর্মন, বিপ্লব চন্দ্র বর্মন ওরফে লক্ষন ও সত্য রাম বর্মনকে জামিনে মুক্তি দান করে। বাদী পক্ষে মামলায় কৌশলী ছিলেন এড.অনির্বান চৌধুরী, এড. সোহরাব প্রধান, এড. আবু তোরাব মানিক, এড. ইমরান হোসেন চৌধুরী প্রমুখ। আর আসামী পক্ষে কৌশলী ছিলেন এড. মাসুদ রানা।