ঠাকুরগাঁওয়ে অসময়ে মাচায় তরমুজ চাষ, ভাগ্য খুলেছে কৃষকের ।
মোঃ মামুন অর-রশীদ, ঠাকুরগাঁও ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধিঃ
ঠাকুরগাঁওয়ে অসময়ে বাণিজ্যিকভাবে মাচায় তরমুজ চাষ করে ভাগ্য খুলেছে কৃষকের ।
ঠাকুরগাঁও জেলার মাটি, পানি ও জলবায়ু সব ফসলের জন্য উপযোগী, এ অঞ্চলটি শস্যভান্ডার নামে পরিচিত।
সাধারণত তরমুজ নির্দিষ্ট মৌসুমে ব্যাপকভাবে আবাদ হয় কিন্তু এ বছর অসময়ে তরমুজ চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন পীরগঞ্জ এলাকার কৃষকেরা। উপজেলার ভাতারমাড়ি ফার্মের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় প্রায় ২৭ একর (৫৪ বিঘা) জমিতে মাচায় তরমুজ চাষ করে এলাকায় সাড়া ফেলেছেন । সাধারণত বর্ষা মৌসুমে তরমুজ চাষ করতো না কৃষক।
কিন্তু প্রযুক্তির উন্নতির ফলে এখন বর্ষাকালেও মাচায় তরমুজ চাষ হচ্ছে। বৃষ্টির পানিতে বীজ যেন পঁচে নষ্ট না হয় সেজন্য উন্নতমানের পলিথিন ব্যবহার করা হয়েছে। যার ফলে অল্প সময়ের মধ্যে বীজ অঙ্কুরোদগম হয়ে চারা বেরিয়ে আসে। বর্তমানে মাচায় অসংখ্য তরমুজ ঝুলছে। প্রতিটি তরমুজ ৩-৪ কেজি ওজনের। লাল ও হলুদ বর্ণের। স্বাদ ও মিষ্টতা অসাধারণ।
তরমুজ চাষী লিপু মিয়া বলেন , লেখাপড়া শেষ করে চাকরির পেছনে না ঘুরে, ইউটিউবে অসময়ে মাচায় তরমুজ চাষের ভিডিও দেখে উৎসাহিত হয়ে বাণিজ্যিকভাবে এই তরমুজের আবাদ করি এটাই আমার হাতেখড়ি। আমি প্রথমবারের মতো দুই একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। এতে আমার খরচ হয়েছে প্রায় ২ লাখ টাকার মতো। আমি আশা করি প্রায় ৫ লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করতে পারবো।
কৃষক ফয়জুল, লিটু বলেন, এবার বানিজ্যিকভাবে মাচায় তরমুজ চাষ করেছি, ফলন ভালোই হয়েছে। বাজারে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে তাই লাভবান হবো।
ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আলমগীর কবির বলেন, মাচায় তরমুজ চাষে উৎপাদন খরচ খুব একটা বেশি না। এই তরমুজ অনেক মিষ্টি ও সুস্বাদু। চাষিরা যাতে তরমুজ কোন অসুবিধা ছাড়াই বাজারজাত করতে পারে সেজন্য আমরা সকল ধরনের সহযোগীতা করবো। নতুন এই পদ্ধতি গোটা জেলায় প্রায় সাতাইশ একর জমিতে চাষ হয়েছে। আমরা তাদের সকল সহযোগিতা দিয়ে আসছি।