1. dainikjonopath@gmail.com : admin :
  2. fecmetznutna1982@coffeejeans.com.ua : carlaholleran9 :
  3. mieshaalbertsoncqb@yahoo.com : cornellerickson :
  4. lmkbqyuvvPt@poochta.com : Elliskib :
  5. qevyvaii@mailkv.com : ericglowacki :
  6. intechpedes1984@coffeejeans.com.ua : janncalder75 :
  7. meridithonus@1secmail.org : kianmcnutt53 :
  8. aahsanmanik@gmail.com : M A Manik :
  9. fwgionnjlSi@poochta.com : ManuelVar :
  10. egor932@lotofkning.com : sethgainer82435 :
  11. sm_christopher_wilson@tb-investlab1.ru : wallacelarose6 :
  12. shanicecohen6539@1secmail.net : yolandahiggins6 :
ঢাকা ০৮:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঠাকুরগাঁওয়ে লটকন চাষে স্বাবলম্বী কৃষক আমিনুল ইসলাম।

মোঃ মামুন অর-রশীদ, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধিঃ

সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ঠাকুরগাঁও সদর সালন্দর কলেজ পাড়া লটকন চাষে স্বাবলম্বী কৃষক আমিনুল ইসলাম। লটকন বাগানে সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিটি গাছের গোড়া থেকে উঁচু ডাল পর্যন্ত ধরে আছে থোকায় থোকায় পাকা লটকন। টানা পাঁচ বছর ধরে লটকন চাষ করে কৃষক আমিনুল আজ স্বাবলম্বী। তার সুবাদে এই এলাকার অনেকেই এখন লটকন বাগান করতে আগ্রহী।

বাংলাদেশের নরসিংদী এলাকার লটকন দেশে সমাদৃত। তবে এখন টাঙ্গাইলের পাহাড়ি অঞ্চলেও এই ফলের চাষ বেড়েছে। ইংরেজিতে ‘বার্মিজ গ্রেপ’ নামে পরিচিত হলেও আমাদের দেশে এ ফলটি লটকন, বুবি, বুগি, লটকা, লটকো, নটকো ইত্যাদি নামে পরিচিত।

কৃষক আমিনুল ইসলাম জানান, তার বাড়ির পাশে পতিত জমিতে অল্প কিছু লটকনের গাছ লাগিয়েছিলেন। শখের বশে প্রথমে চল্লিশটি লটকন গাছ দিয়ে ছোট পরিসরে বাগান করেছিলেন তিনি। বাজারে লটকনের চাহিদা এবং দাম ভালো থাকায় অর্থনৈতিকভাবে সফলতা পাচ্ছেন আমিনুল ইসলাম।

তিনি জানান, এ বছর ১ লাখ টাকার ওপরে লটকন বিক্রি করতে পারবো। এতে আমার কোনো খরচ নেই। পাইকার বাগানে এসে লটকন কিনে নিয়ে যান। বিক্রির কোনো ঝামেলা পোহাতে হয় না। এখন আমার বাড়ির লোকজনসহ এলাকার অনেকেই লটকন বাগান করতে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।

জানা গেছে, ১০-১৫ বছর আগেও লটকনের তেমন চাহিদা ছিল না। দামও ছিল কম। সেজন্য কেউ লটকনের আলাদা বাগান করার চিন্তা করতেন না। বর্তমানে টক-মিষ্টি সুস্বাদু এ ফলের চাহিদা ও মূল্য দুটিই বেড়েছে। এমনকি অন্যান্য ফল চাষের তুলনায় লটকনের ফলন বেশি হয় বলে চাষিরাও লাভবান হচ্ছেন।

গুণগত মানভেদে লটকন মণপ্রতি ২ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা দরে পাইকারি বিক্রি করা হয়ে থাকে। পাইকাররা নিজেরাই বাগান থেকে লটকন কিনে থাকেন।

ঠাকুরগাঁওয়েরঙ মাটি এবং ছায়ামুক্ত আবহাওয়া থাকায় লটকনের ফলন ভালো হয়ে থাকে।

উপজেলা কৃষি সুত্রে জানতে পাররাম, লটকন উৎপাদনে ঠাকুরগাঁও মাটি খুবই উপযোগী। লটকন চাষে পরিশ্রম ও খরচ দুটোই কম।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, ঠাকুরগাঁও মাটি লটকন চাষের জন্য উপযোগী। এখন অনেক কৃষক লটকন চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন।

মার্চ মাসের দিকে লটকন গাছে ফুল আসে এবং ফল পরিপক্ব হতে চার-পাঁচ মাস সময় লাগে। জুন, জুলাই ও আগস্ট মাসে লটকন বাজারে পাওয়া যায়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ফলটিতে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ ও ঔষধিগুণ। ভিটামিন-সি’তে ভরপুর উপকারী এ ফলটি প্রতিদিনের খাবার তালিকায় রাখার পরামর্শও দিয়ে থাকেন অনেকে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :
  • আপডেট সময় : ০৯:০৭:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জুলাই ২০২৩ ১৩৮ বার পড়া হয়েছে

    • আপনি কি banglarjonopath.com এর নিয়মিত পাঠক?

      View Results

      Loading ... Loading ...
  • পুরনো ফলাফল
    Logo
    সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
    ফজর শুরু৪:০৭
    জোহর শুরু১২:০৫
    আসর শুরু৪:৪২
    মাগরিব শুরু৬:৪০
    ইশা শুরু৮:০৩
    সূর্যোদয় :৫:২৯সূর্যাস্ত :৬:৩৫

    ঠাকুরগাঁওয়ে লটকন চাষে স্বাবলম্বী কৃষক আমিনুল ইসলাম।

    আপডেট সময় : ০৯:০৭:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জুলাই ২০২৩

    ঠাকুরগাঁও সদর সালন্দর কলেজ পাড়া লটকন চাষে স্বাবলম্বী কৃষক আমিনুল ইসলাম। লটকন বাগানে সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিটি গাছের গোড়া থেকে উঁচু ডাল পর্যন্ত ধরে আছে থোকায় থোকায় পাকা লটকন। টানা পাঁচ বছর ধরে লটকন চাষ করে কৃষক আমিনুল আজ স্বাবলম্বী। তার সুবাদে এই এলাকার অনেকেই এখন লটকন বাগান করতে আগ্রহী।

    বাংলাদেশের নরসিংদী এলাকার লটকন দেশে সমাদৃত। তবে এখন টাঙ্গাইলের পাহাড়ি অঞ্চলেও এই ফলের চাষ বেড়েছে। ইংরেজিতে ‘বার্মিজ গ্রেপ’ নামে পরিচিত হলেও আমাদের দেশে এ ফলটি লটকন, বুবি, বুগি, লটকা, লটকো, নটকো ইত্যাদি নামে পরিচিত।

    কৃষক আমিনুল ইসলাম জানান, তার বাড়ির পাশে পতিত জমিতে অল্প কিছু লটকনের গাছ লাগিয়েছিলেন। শখের বশে প্রথমে চল্লিশটি লটকন গাছ দিয়ে ছোট পরিসরে বাগান করেছিলেন তিনি। বাজারে লটকনের চাহিদা এবং দাম ভালো থাকায় অর্থনৈতিকভাবে সফলতা পাচ্ছেন আমিনুল ইসলাম।

    তিনি জানান, এ বছর ১ লাখ টাকার ওপরে লটকন বিক্রি করতে পারবো। এতে আমার কোনো খরচ নেই। পাইকার বাগানে এসে লটকন কিনে নিয়ে যান। বিক্রির কোনো ঝামেলা পোহাতে হয় না। এখন আমার বাড়ির লোকজনসহ এলাকার অনেকেই লটকন বাগান করতে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।

    জানা গেছে, ১০-১৫ বছর আগেও লটকনের তেমন চাহিদা ছিল না। দামও ছিল কম। সেজন্য কেউ লটকনের আলাদা বাগান করার চিন্তা করতেন না। বর্তমানে টক-মিষ্টি সুস্বাদু এ ফলের চাহিদা ও মূল্য দুটিই বেড়েছে। এমনকি অন্যান্য ফল চাষের তুলনায় লটকনের ফলন বেশি হয় বলে চাষিরাও লাভবান হচ্ছেন।

    গুণগত মানভেদে লটকন মণপ্রতি ২ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা দরে পাইকারি বিক্রি করা হয়ে থাকে। পাইকাররা নিজেরাই বাগান থেকে লটকন কিনে থাকেন।

    ঠাকুরগাঁওয়েরঙ মাটি এবং ছায়ামুক্ত আবহাওয়া থাকায় লটকনের ফলন ভালো হয়ে থাকে।

    উপজেলা কৃষি সুত্রে জানতে পাররাম, লটকন উৎপাদনে ঠাকুরগাঁও মাটি খুবই উপযোগী। লটকন চাষে পরিশ্রম ও খরচ দুটোই কম।

    উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, ঠাকুরগাঁও মাটি লটকন চাষের জন্য উপযোগী। এখন অনেক কৃষক লটকন চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন।

    মার্চ মাসের দিকে লটকন গাছে ফুল আসে এবং ফল পরিপক্ব হতে চার-পাঁচ মাস সময় লাগে। জুন, জুলাই ও আগস্ট মাসে লটকন বাজারে পাওয়া যায়।

    বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ফলটিতে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ ও ঔষধিগুণ। ভিটামিন-সি’তে ভরপুর উপকারী এ ফলটি প্রতিদিনের খাবার তালিকায় রাখার পরামর্শও দিয়ে থাকেন অনেকে।