প্রেমের ফাঁদে পড়ে জনতার হাতে আটক মোনাফ সিকদার, অতঃপর বিয়ে
কক্সবাজার শহরের পেশকার পাড়ার মোনাফ সিকদার দীর্ঘ ৮ বছর সম্পর্কের পরও প্রেমিকাকে বিয়ের না করার হুমকি দেয়। প্রতিনিয়ত অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত ছিল ঐ মেয়েটির সাথে।
বুধবার দিবাগত রাতে প্রেমিকার বাড়িতে ঢুকে পড়ে মোনাফ। পরে লোকজনের জানাজানি হলে সকালে পেশকারপাড়া সমাজ কমিটির নেতৃবৃন্দ মোনাফ সিকদার কে ঐ নারীর তালাবদ্ধ বাড়ির ভেতর থেকে তালা খুলে আটক করে। স্থানীয়দের চাপে প্রেমিকাকে বিয়ে করতে বাধ্য হয় মোনাফ সিকদারের। এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে সমগ্র ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার সৃষ্ঠি হয়। মোনাফ সিকদার কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি, বর্তমানে জেলা যুবলীগের পদপ্রত্যাশী। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি অবিবাহিত ছিলেন। তার বাড়ি ও তার প্রেমিকার বাড়ি পেশকার পাড়া এলাকায়। এ্ইদিকে প্রেমিকার বাড়িতে মোনাফ সিকদারের ধরা পড়ার ঘটনা চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে সর্বোচ্চ তোলপাড় সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি বেসামালহয়ে পড়লে ঘটনা স্থলে যান পুলিশ প্রশাসন ও।
মেয়েটির পরিবার জানান, “দীর্ঘদিন ধরে মোনাফ সিকদার আমার মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অবৈধ মেলামেশা করে আসছে। কিন্তু বিয়ে আজ অবধি করেনি। তাকে মানা করলেও নির্লজ্জভাবে সে আমার বাসায় ঢুকে পড়ে। প্রতিবাদ করলে আমাদের হুমকি দেয়। দারিদ্রতাকে সুযোগ নিয়ে সে নানা ধরনের অপকর্ম চালায়।
মেয়েটি জানান, “মোনাফ আমাকে বিয়ের কথা বলে দীর্ঘ ৮বছর ধরে রীতিমতো আমার সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে আসছে। এর মধ্যে মুনাফ অন্য এক মেয়ের সাথে বিয়ের কথা পাকাপোক্ত করেছে। এরপরো আমাকে জোরপূর্বক অপব্যবহার করে আসছে। আমি সমাজে মুখ দেখাতে পারছি না। সে আমাকে বিয়ে করবে বলে প্রতিনিয়ত আমার উপর অবিচার চালায়।
পেশকারপাড়া সমাজ কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবু আহমদ জানান, “মোনাফের দীর্ঘ ৮ বছরের যে সম্পর্ক তা অবৈধ ভাবে হয়ে আসছে। এব্যাপারে আগেও একবার সামাজিকভাবে বিয়ের আশ্বাস দিলেও মুনাফ তা আজ পর্যন্ত করেনি। তাই আজ সমাজ কমিটির সকলে তাকে হাতেনাতে ধরে কাজী ডেকে তার বিয়ের মাধ্যমে অবৈধ সম্পর্কের বৈধতা তৈরি করছি।”
এসময় শহর পুলিশ ফাড়ির একটি টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। পুলিশ বলেন, “মোনাফ এবং সমাজের নেতারা সামাজিকভাবে বিয়ের মাধ্যমে তাদের অবৈধ সম্পর্কের সুরাহা করেন। তাই বিষয়টি সামাজিকভাবে সমাধান করা হয়।”